সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: সুনামগঞ্জে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়েছে।
সোমবার (২২ মার্চ) দুপুরে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর জোন আদালতের বিরাচক কুদরত-এ-এলাহীর আদালতে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী মইনুল ইসলামের (৪৭) পক্ষে মামলাটি করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সিলেটের দক্ষিণ সুরমা ইউনিয়নের বাসিন্দা যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল মালিক, যুক্তরাজ্য প্রবাসী মো. কয়সর আহমেদ, শায়েস্থা চৌধুরী কুদ্দুস, মিসবাহুজ্জামান সুহেল, কামাল উদ্দিন, রহিম উদ্দিন, মাহিদুর রহমান, আনোয়ার হোসাইন খোকন, আফজল হোসেন, আব্দুস সালাম, আফজল হোসেন, হাবিবুর রহমান, নাসির আহমদ শাহিন, শাহ আখতার হোসাইন টুটুল, আবুল কালাম আজাদ, ইকবাল হোসেন, মো. আবুল হোসেন, হেলাল নাসিমুজ্জামান, তাজবির চৌধুরী শিমুল, নাসিম আহমেদ চৌধুরী, এমদাদ টিপু, ডা. মুজিবুর রহমান মুজিব, ঢাকা রিজেন্সী হোটেল ও রিসোর্টের চেয়ারম্যান মুসলেহ উদ্দিন আহমদ, প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ মোতাহার ও বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক কবির রেজা।
মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সদর মডেল থানার পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
মামলার বাদিপক্ষের আইনজীবী আক্তারুজ্জামান সেলিম জানান, মামলাটি দায়ের করেছেন সিলেটের মোগলাবাজার থানার রায়খাইল গ্রামের বাসিন্দা মঈনুল ইসলাম। তিনি রায়খাইল গ্রামের মৃত আব্দুস শহিদের ছেলে। তবে মঈনুল ইসলাম যুক্তরাজ্যের নাগরিকও।
বাদি মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, তিনি বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের দ্বৈত নাগরিক। উভয় দেশেই তার ব্যবসা আছে। তিনি ব্যক্তিগত প্রয়োজনে গতবছরের ১৮ নভেম্বর বাংলাদেশে আসেন। ১৯ ডিসেম্বর দুপুরে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের হাছন রাজা জাদুঘর পরিদর্শনে যান। সেখানে তিনি এক বন্ধুর জন্য অপেক্ষা করার সময় মোবাইলে ইউটিউবের একটি চ্যানেলে ২০২০ সালের ১৬ ডিসেম্বর আপলোড করা জুম মিটিংয়ের একটি ভিডিও দেখতে পান। এতে তারেক রহমান তার বাবা জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করে বক্তব্য দেন। ডিজিটাল মাধ্যমে তারেক রহমানের এ বক্তব্য দেখে ও শুনে ক্ষুব্ধ হয়ে বাদী মামলাটি করেছেন।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সদর মডেল থানার পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী আক্তারুজ্জামান সেলিম।